গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব নূরারডেইল এলাকার ওমর ফারুকের ছেলে আহমদ শরীফ ওরফে শরীফ্যা ডাকাত এবং রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্না এলাকার ছৈয়দ আলমের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে বাবুল। তাদের মধ্যে আহমদ শরীফ এই ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি এবং রেজাউল করিম তার সহযোগী।
লে. কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, গত ২৩ জুন জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব নূরারডেইল পাহাড়ি এলাকায় নুরুল আমিন ওরফে বাবুল এবং তার ভাই হাসান আলীর বাড়িতে ৭ থেকে ৮ জনের মুখোশধারী একদল ডাকাত দল হানা দেয়। তারা অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে হাত–পা বেঁধে ফেলে এবং নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে র্যাব জানায়, ডাকাতদল দুই ভাইকে দেখেই মারধর শুরু করে। এ সময় স্বজনদের চিৎকারে নুরুল আমিন ডাকাত আহমদ শরীফকে চিনে ফেলেন। তখন শরীফ নুরুল আমিনের বগলের নিচে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। পরে স্বজনরা তাকে কঙবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রীর বরাত দিয়ে ঘটনার পেছনের কারণ প্রসঙ্গে র্যাব জানায়, প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার স্বামী নুরুল আমিনের অনুপস্থিতিতে ডাকাত আহমদ শরীফ তাকে কুপ্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতো। এতে রাজি না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ওই ঘটনার সূত্র ধরে ডাকাতির দিন শরীফ তার চিহ্নিত প্রতিশোধ নেয়। পরবর্তীতে ২৪ জুন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে আহমদ শরীফকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭–৮ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাবের অধিনায়ক আরও জানান, ঘটনার পর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করা হয়। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব পুলিশের সহায়তায় আহমদ শরীফের বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়িটি ঘিরে ফেললে দুইজন সন্দেহভাজন পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চারটি দেশীয় তৈরি লম্বা বন্দুক, এক রাউন্ড গুলি ও একটি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন লে. কর্নেল কামরুল হাসান।